আলাইপুর কলেজ, রূপসা, খুলনা-এর ওয়েবসাইট পরিদর্শনে সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। উন্নয়নের অংশীদার হতে হলে এবং এর সুফল পেতে হলে দক্ষ জনশক্তি গঠন অবশ্যই প্রয়োজন। আর সে লক্ষ্যেই আলাইপুর ডিগ্রি কলেজ শিক্ষার সংযোজন ছিল একটি যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত। কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে সেদিন জন্ম হয়েছিল আলাইপুর ডিগ্রি কলেজ এর। আর তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই পথচলা। বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা ও সহযোগিতার সাথে আমাদের একান্ত চেষ্টাই আগামী দিনে কারিগরি শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষায় পরিনত করবে এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশ্যা। বহুল জনসংখ্যাপূর্ন আমাদের এই দেশে কারিগরি শিক্ষাই পারে অবস্থার উন্নতি ঘটাতে এবং উন্নত দেশসমূহের কাতারে সামিল করতে। সেদিন হয়তো আর বেশী দূরে নয় যেদিন আমরা চাকুরী প্রত্যাশী নয় বরং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একেকজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলব এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সবল রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে নিজেদেরকে তুলে ধরব নতুন আঙ্গিকে নতুন চেতনায়। শুধু তাই নয় নেতৃত্বে কারিগরি শিক্ষার্থীরা থাকবে অগ্রভাগে। তাদের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল চিন্তা-আবিস্কার জীবনযাত্রায় আনবে স্বচ্ছন্দময় পরিবর্তন। সময়ের পরিবর্তনের ধারায় আমরা থাকব প্রথম সারিতে। প্রাণচাঞ্চল্য ও কর্মব্যস্ততায় আমাদের জীবন হয়ে উঠবে উপভোগ্য আর নৈতিকতায় থাকব আপসহীন। চিরমহান মঙ্গলময় সৃষ্টিকর্তার নিকট এমনই প্রার্থনা ও সমর্পন রেখে কৃতজ্ঞতায় অন্তর পূর্ণ হোক।
আবু সাঈদ খান
অধ্যক্ষ
আলাইপুর কলেজ
প্রাচীন বাংলার স্বাধীন সুলতান আলাউদ্দনি হোসেন শাহ ’র জন্ম স্থান হিসেবে পরিচিত খুলনা জেলার রূপসা উপজলোর ঐতিহাসিক আলাইপুর গ্রামে ১৯৯৪ খ্রি.. ২০ এপ্রিল কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষে কলেজটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড র্কতৃক অনুমোদন লাভ করে এবং ২০০১- ২০০২ শিক্ষাবর্ষে কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডিগ্রি (পাশ) কোর্সে অধিভুক্তি লাভ করে। গত ৩১/0৩/১৯৯৮ খ্রিঃ কলেজটি সর্বপ্রথম শিক্ষা মন্ত্রানালয় থেকে এম.পি.ও ভুক্তি লাভ করে। গত ১৯৯৯-২০০০ র্অথ বছরে ফ্যাসিলিটিস বিভাগ কর্তৃক কলেজে একটি দ্বিতলা ভবন নির্মিত হয়। উক্ত ভবনটির নামকরন করা হয় “শেখ হাসিনা ভবন“।